প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও করোনার টিকাকে ‘বৈশ্বিক পাবলিক পণ্য‘ হিসাবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, লক্ষ লক্ষ টিকা দেয়ার প্রচেষ্টাকে পেছনে রেখে টেকসই পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
রবিবার ৭৫তম বিশ্ব স্বাস্থ্য অ্যাসেম্বলি’র উচ্চ পর্যায়ের সেগমেন্টে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে টিকা উৎপাদন বাড়াতে প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান ভাগাভাগি করতে হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দীর্ঘ করতে নতুন করে ডিজাইন করতে হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
ভবিষ্যত মহামারিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত প্রতিক্রিয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই মহামারি চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।
এসময় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ওপর বাড়তি মনোযোগ দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস চিকিৎসার জন্য গবেষণায় আমাদের আরও বিনিয়োগ করতে হবে। এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাগুলোও জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যার অংশ হিসেবে সমাধান করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সড়ক দুর্ঘটনা, ডুবে যাওয়া এবং অন্যান্য জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব বয়সের মানুষের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার উন্নয়নে এসডিজি-৩ অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ দক্ষ ধাত্রী কর্তৃক ৬৫ শতাংশ প্রসব এবং ২০২২ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রসবপূর্ব-সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সু-সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর