কানাডার টরন্টোতে মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর একজনের মরদেহ ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পরিবারকে অবহিত ও আশ্বস্ত করা হয়েছে যে টরন্টোতে অবস্থিত হাইকমিশন ও কনস্যুলেটের সঙ্গে প্রয়োজনে অফিস সময়ের পরেও,এমনকি ছুটির দিনেও যোগাযোগ করা যেতে পারে।
শনিবার বাংলাদেশ হাইকমিশন বলেছে, কনস্যুলেট টরন্টোর দুটি ফিউনারেল হোমের (শেষকৃত্যের ঘর) সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কারণ তারাই তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ পরিবহনের জন্য ডেথ সার্টিফিকেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যবস্থা করছে।
নিহতদের পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট হাসপাতাল ও শেষকৃত্যের ঘর থেকে ডেথ সার্টিফিকেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করবে।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষকের গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
টরন্টোতে সোমবার রাতে মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
টরন্টোস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও হাইকমিশন নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আহত শিক্ষার্থীর দ্রুত ও পূর্ণ আরোগ্য কামনা করেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারকে জানানো হয়, আহত শিক্ষার্থীর অবস্থা স্থিতিশীল এবং তার উন্নতি হচ্ছে।
এদিকে নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে টরন্টোস্থ হাইকমিশন ও কনস্যুলেট নিহত শিক্ষার্থীদের মরদেহ পরিবহনে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।
হাইকমিশনার প্রয়োজন হলে টরন্টোতে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজারদের এই প্রক্রিয়াটি সহজতর করার পাশাপাশি টরন্টোতে আসতে ইচ্ছুক পরিবারের সদস্যদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিটের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু