সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কুড়িগাম জেলার রৌমারী উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সোমবারও উপজেলার দাতভাঙ্গা ইউনিয়নের ১৫ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
নতুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো- চর গয়টা পাড়া, তেকানী গ্রাম, চরকাউয়ারচর, চরবোয়লমারী, ওকড়াকান্দা, শৌলমারী, মোল্লারচর, কড়াইকান্দি, মির্জাপাড়া, গোয়লগ্রাম, নতুন চুলিয়ারচর, বকবান্দা, বিক্রিবিল, আলগারচর ও কাশিয়াবাড়ি।
খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এই এলাকার ২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী জুবায়ের হোসেন জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় শৌলমারী, রৌমারী ও যাদুরচর ইউনিয়নের ২২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত গভীর পানির মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য মানুষ নৌকা ব্যবহার করছে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, জিঞ্জিরাম, ধরনী ও কালজানি নদী পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার ২৮৩ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, টানা বর্ষণে উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার্তদের ত্রাণসামগ্রী দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত তিন লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে বলেও জানান তিনি।
আজিজুর রহমান আরও জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে এবং বরাদ্দ পেলে আরও ত্রাণ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যায় ৫৫২ কিলোমিটার রাস্তা ও ৮টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত