কুষ্টিয়ায় টেন্ডার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে লিটন বিশ্বাস(৩০) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায়ে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২১ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছাক মাস্টারের ছেলে আলী রেজা সিদ্দিক বুলবুল ওরফে বড় কালু, একই উপজেলার মৃত্তিকাপাড়া এলাকার মৃত এছেম আলীর ছেলে মনোয়ার ওরফে মনো এবং মাইজপাড়া এলাকার জলিলের ছেলে লিয়াকত।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০০৯ সালের ২৭ জুন বিকালে লিটন বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজের পরের দিন ২৮ জুন সকালের দিকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে লিটনের দেহবিহীন মস্তক উদ্ধার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ।
আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লিটনকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ওই দিন নিহতের বাবা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের মৃত চেতন আলী বিশ্বাসের ছেলে আজিবর বিশ্বাস বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক এসআই মজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক আসামিদের শাস্তির এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাড়ির মালিককে হত্যা: ভাড়াটিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড