কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এস এম রফিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বজনদের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ১০টার দিকে কুমারখালীর শহরতলীর শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু এলাকা থেকে ৮-১০ জন দুর্বৃত্তরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, রফিককে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল। পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে।
রফিকের স্ত্রী আছমা খাতুন বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা রফিককে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। রফিক আওয়ামী লীগ করায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর রফিক আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি কুমারখালীর শেরকান্দি এলাকায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে গড়াই নদীর শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ৮ থেকে ১০ ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে তাকে কুমারখালী থানায় পাওয়া যায়। এছাড়া গত ৯ ফেব্রুয়ারি কুমারখালীর পদ্মপুকুর ঘাট এলাকায় নাশকতার মামলায় রফিককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘নাশকতা মামলার রফিককে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেতু এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’