কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকার দুই লাখের বেশি পানিবন্দি মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন।
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, জেলার ২৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
এছাড়া বন্যার কারণে ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতটি মাদরাসা ও একটি কলেজ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বানভাসিদের দুর্ভোগ বেড়েছে, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
এদিকে খাদ্য, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে বন্যার্তদের দুর্ভোগ তীব্র হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় টিউবওয়েল স্থাপন ও পুরাতনগুলো মেরামতের পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ ও অস্থায়ী টয়লেট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।