৬০ বছরেরও বেশি পুরোনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পূর্ব কোণে নতুন কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করেছে। একই স্থানে আরও দুটি ইউক্লিপটাস গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অভ্যন্তরে পুরনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির হল খুলবে ৫ অক্টোবর
বিখ্যাত কৃষ্ণচূড়া গাছটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে কিছু শিক্ষার্থী একটি মিছিল বের করে এবং গাছের টুকরো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়ির দিকে রওনা দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে আরও শতাধিক গাছ লাগানোর দাবি জানান এবং কর্তৃপক্ষকে গাছ কাটা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মনিরুল ইসলাম তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেছেন,‘আজকাল আমার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেতে ভালো লাগছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে থাকা কোমরহীন মানুষ ক্যাম্পাসকে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না;বরং তারা গাছ কেটে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করছে। এটা খুবই হতাশাজনক। কৃষ্ণচূড়া গাছের অভিশাপ লাগুক তাদের কপালে।’
আরও পড়ুন: ঢাবির অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
কার্জন হলের উদ্ভিদ-সৌন্দর্যায়ন এবং ক্যাম্পাসের রোড মিডিয়ানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গাছপালার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়মিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরিকালচার সেন্টারের দ্বারা পরিচালিত হয়।
সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন,‘এই গাছগুলো মূলত ঝুঁকির মধ্যে ছিল। গাছগুলো ছিল রাস্তার ওপরে। এছাড়া যে কোনো সময় গাছগুলো ভেঙে পড়তে পারতো। তাই গাছগুলো অপসারণের কোন বিকল্প ছিল না। আমরা এই জায়গায় দ্রুত বর্ধনশীল গাছ লাগাব।’
পুরনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘কৃষ্ণচূড়া গাছ সোজা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গাছটি হেলে পড়েছে এবং এর মূলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এটি যে কোন সময় ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার কারণ হতে পারতো। তাই এটি অপসারণ করতে হয়েছে।’