কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় তাদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি তুলে নেওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয় রেল যোগাযোগ।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার লেভেল ক্রসিং ও মহাখালী লেভেল ক্রসিংয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড দেওয়ায় ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারে ‘বাংলা ব্লকেড’, সারাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’র অংশ হিসেবে বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা লগ বসিয়ে লেভেলক্রসিং অবরোধ করেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস জানান, বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা কারওয়ান বাজার সংলগ্ন লেভেল ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রেন যোগাযোগ বিঘ্নিত করে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিম আহমেদ বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের আগের আদেশের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে এবং তা না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় কিছু শিক্ষার্থী কারওয়ানবাজার এফডিসি পয়েন্ট সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এদিকে মহাখালী, আমতলী, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও মেরুল বাড্ডায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দিতে দেখা গেছে।
রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় যাত্রীদের পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
কোটা সংস্কারকারের দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালনের সময় রেলওয়ে ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।