ছাত্র সংগঠনের নেতাদের এক প্রতিনিধিদলকে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার আগে হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে জাতীয় পর্যায়ে এবং সেটা করতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বিবেচনা করে।’
‘বুধবার ইউজিসির এক চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে হলগুলো বন্ধ থাকা উচিত। তবে, পরীক্ষা নেয়া যাবে। এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া জাতীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু আমরা এর বাইরে গিয়ে দেশকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না,’ বলেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।
আরও পড়ুন:পরীক্ষা নেয়ার আগে আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেই আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থীদের শেষ বর্ষের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাবি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের সুবিধা দেয়া সম্ভব নয় বলে জানালেও পরীক্ষার আগে হলগুলো পুনরায় চালু করা নিয়ে শোরগোল বাড়ছে।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদলকে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে আমার মতভেদ নেই। কিন্তু আমাদের মহামারির পরিস্থিতিও বিবেচনায় নিতে হবে। আজ যদি কেউ তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেয় তবে তা দেশের জন্য এক বিশাল ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।’
বৈঠকে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হুসেন। এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ঢাবির বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পরীক্ষা শুরুর আগে আবাসিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার ক্ষণ ঘনিয়ে আসায় ঢাবির হল খোলা নিয়ে শোরগোল বাড়ছে
ঢাবির অনার্স, মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষা ২৬ ডিসেম্বর শুরু
বাংলাদেশ সাধরণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার পুনরায় চালু, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল খুলে দেয়া এবং পৃথক করোনা ইউনিটের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
সংগঠনের অন্যতম নেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, হলগুলো পুনরায় চালু না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। তিনি অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনার জন্য ন্যূনতম মাসিক খরচ দেয়ার দাবি জানান।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী গ্রামে বাস করেন, তারা হলগুলো ছাড়া অন্য কোথাও থাকার সুযোগ পান না। তাই, আমরা অবিলম্বে হলগুলো আবার চালু করার দাবি করছি।’
আরও পড়ুন:ঢাবির বিভাগীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঢাবির অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা
পরে তারা টিএসসি এলাকা থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে অতিরিক্ত সেশন ফি এবং দেরিতে ফি জমা দেয়ার জন্য জরিমানা মওকুফ করা।