বুধবার ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধনে ছয় দফা দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে পরীক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে দেয়া। বিভিন্ন কারণে অনলাইন ক্লাসে যোগদান করতে না পারা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রতিটি কোর্সের রিভিউ ক্লাস নেয়া ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন:পরীক্ষার ক্ষণ ঘনিয়ে আসায় ঢাবির হল খোলা নিয়ে শোরগোল বাড়ছে
সেই সাথে শিক্ষার্থীরা বলছে যে একই সময়ে দুটি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা না নিয়ে যথাযথ প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়া।
ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘হলগুলো বন্ধ থাকলে আমরা ঢাকায় কোথায় থাকব? আমরা নিম্ন ও মধ্য আয়ের পরিবার থেকে এসেছি এবং পরীক্ষার সময় শহরের অন্য কোথাও থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘এমনকি এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের আত্মীয় যারা ঢাকায় অবস্থান করছেন তাদের অনেকের পক্ষেও আবাসন ব্যবস্থা করা অনিশ্চিত। এছাড়া, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলমান থাকায় বেশির ভাগ বাড়ির মালিক জামানত বেশি দাবি করায় সেটাও অনেকের জন্য প্রায় অসম্ভব।’
আরও পড়ুন:ঢাবির অনার্স, মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষা ২৬ ডিসেম্বর শুরু
ঢাবির বিভাগীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আতিক মোর্শেদ আবাসিক সুযোগ-সুবিধাকে নিশ্চিত না করেই পরীক্ষা নেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত লজ্জার বিষয় যে আমাদের উপাচার্য বলেছেন যে তিনি জানেন না শিক্ষার্থীরা কোথায় থাকবেন।’
শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কর্তৃপক্ষ আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে মানবন্ধনে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা চার দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
আরও পড়ুন:বিতর্কের মুখে সান্ধ্যকালীন এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করল ঢাবি
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঢাবির অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা
তাদের দাবিগুলো হলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল খুলে দেয়া, পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ দেয়া, ,ডিভাইস সমস্যায় থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিশ্রুত ডিভাইসের ব্যবস্থা করা এবং সব শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনার জন্য ন্যূনতম মাসিক খরচ দেয়া।
এছাড়াও একই দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামানের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে।