তরুণ প্রজন্মকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধির দাবিতে রবিবার একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দাবি জানাতে ‘রেইজ ট্যাক্স সেভস লাইভস বিডি’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ফেসবুকে ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডসহ তাদের ছবি আপলোড করে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো-ফ্রি কিডসের সহযোগিতায় তামাকবিরোধী অ্যাডভোকেসি সংস্থা প্রজ্ঞা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ পেলেন ৪ গণমাধ্যমকর্মী
অনুষ্ঠানে আসন্ন অর্থবছর ২০২২-২৩ এ জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো দাবি জানায়, আগামী জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক (এসডি) হিসেবে সাড়ে ৩২ টাকা আরোপ করে ১০ স্টিকের নিম্ন-স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা।
১০টি মাঝারি স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য ৪৮ টাকা ৭৫ পয়সা সম্পূরক শুল্কসহ ৭৫ টাকা; ১০টি উচ্চ-স্তরের সিগারেটের ৭৮টাকা সম্পূরক শুল্কসহ ১২০ টাকা এবং ১০টি প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেট সাড়ে ৯৭ টাকা সম্পূরক শুল্কসহ ১৫০ টাকা দাম নির্ধারণ করা।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অন্তরায়
প্রস্তাবিত হারে তামাকের দাম বাড়ানো হলে এটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ককে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করবে। এছাড়া চার লাখ ৪৫ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে চার লাখ ৪৮ হাজার যুবকের মৃত্যু প্রতিরোধ করবে। এছাড়া সরকারকে ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে সহায়তা করবে।
এছাড়া বিড়ি, জর্দা ও গুলের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ালে সরকারের রাজস্ব বাড়বে ও তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়-ক্ষতি কমবে।’