বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার আইনি উপায় খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, ‘এখানে যখন অনেক আবেদন এসেছে, আইনজীবীদের কাছ থেকেও আবেদন এসেছে। সেজন্য কিছু করা যায় কি না, সেটার কোনো উপায় আছে কি না, সব দিক দেখেই এটার (খালেদা জিয়ার আবেদন) একটা সুচিন্তিত সিদ্ধান্তে আসাটা আমার মনে হয় সমীচীন। এ ক্ষেত্রে আইনের যেন কোনো ব্যত্যয় না হয় সে বিষয়েও সতর্ক রয়েছি।’
রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা রবিবার বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তার দ্রুত বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এখন মুক্ত, তিনি সরকারি হেফাজতে নেই: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আবেদন বিবেচনা করবেন।
এরপর ২৮ নভেম্বর সংসদে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারি হেফাজতে না থাকায় খালেদা এখন মুক্ত।
তিনি আরও বলেন, দেশ ত্যাগ না করাসহ কয়েকটি শর্তের ভিত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় খালেদাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়া হয়েছে, তাই দেশে ফেরার পর নতুন করে পিটিশন দাখিল না করা পর্যন্ত তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার কোনো বিধান আইনে নেই।
বিএনপি নেতারা এবং বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছেন যে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় এ বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সীমাহীন ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের লিভার সিরোসিস সমস্যার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে কোনো উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায় তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবিতে ২৫ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করছে দলটি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে: আইনমন্ত্রী