কমিশন বৃদ্ধি ও ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি (ধর্মঘট) পালন করছেন জ্বালানি ব্যবসায়ীরা। রবিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৮ টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি মালিক সমিতি ও জ্বালানি তেলের পাম্প মালিক সমিতি, খুলনা বিভাগ কোন ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন না করে ২৪ ঘণ্টার এ ঘর্মঘট পালন করছেন।
ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকরা পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি তেল ডিপোর তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রেখে এ কর্মসূচি পালন করছেন। ফলে খুলনাসহ ১৫ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ থাকলেও এ সময়ে ফিলিং স্টেশন (পাম্প) থেকে তেল (নিজ নিজ পাম্পে মজুদকৃত) সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ধর্মঘটের ফলে অতিরিক্ত ট্রাক-লরির চাপে ফিলিং স্টেশন ও ট্রাক-লরি স্ট্যান্ডে জায়গা না হওয়ায় ট্রাক-লরিগুলোকে সড়ক-মহাসড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের মূল্যের (পূর্ব মূল্য) ২.৭১ টাকা কমিশন দেয়া হয়। অতীতে তারা (ট্যাংকলরি মালিক সমিতি ও জ্বালানি তেলের পাম্প মালিক সমিতি) কমিশন বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে (বিপিসি, জ্বালানি মন্ত্রণালয়) একাধিকবার আবেদন করেও কোন ফলাফল পায়নি।
জ্বালানি তেলের মূল্য বর্তমানে অনেক গুনে বৃদ্ধি পেলেও কমিশনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে ট্যাংকলরি মালিক সমিতি ও জ্বালানি তেলের পাম্প মালিক সমিতি তাদের কমিশন প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্যের ৭.৫ শতাংশ হারে প্রদানের দাবিতে আগামী ২৪ ঘণ্টা খুলনা বিভাগের কোন ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন করছে না। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান জ্বালানি ব্যবসায়ীরা।
পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: গণপরিবহন বন্ধে দেশজুড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: রাজধানীতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ