বিস্ফোরক আইনে খুলনার একটি আদালত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র দুই সদস্যকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
রবিবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার মোড়াবাড়ি এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে নুর মোহাম্মদ অনিক ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘাশুরদুয়ার এলাকার মো. রেজাউল করিমের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ ও শামীম আহমেদ পলাশ।
আরও পড়ুন: জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
আদলত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি গোপন সংবাদের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার পুরাতন গল্লামারী রোডের হাসনাহেনা নামক বাড়ির তিনতলা ভবনের নিচ তলায় উত্তর পাশের কক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবি’র কয়েকজন অবস্থান করছে। সেখানে তারা সন্ত্রাসী কার্যকালাপের পরিকল্পনা করছে। এমন সংবাদ পেয়ে ওইদিন রাত সোয়া তিনটার দিকে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ রাসায়নি দ্রব্য ও কয়েকটি রিমোর্ট কন্ট্রোল উদ্ধার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য বলে পরিচয় দেয়।
আরও জানা যায়, এ ব্যাপারে ওইদিন রাতে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই রোহিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে তাদের দু’জনের নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২২ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. এনামুল হক তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন মোট ১২ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ বলেন, এ দু’জন আসামির বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। আদালতে তারা কয়েকটি স্থানে বোমা হামলার কথাও স্বীকার করেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আদালত অতি অল্প সময়ের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করেছে। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। দেশের অন্যান্য মামলাগুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্রেনেড উদ্ধার মামলায় জেএমবি সদস্যের সাড়ে ৫ বছর কারাদণ্ড