ডলারের বাজারে অস্থিরতা কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম পাঁচ টাকা কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে অপ্রয়োজনীয় এবং বিলাসবহুল পণ্য আমদানি রোধে প্রবিধান কঠোর করেছে। এছাড়া আমদানির মিথ্যা তথ্য দিয়ে অর্থপাচার রোধ করার জন্য আমদানি বিলের সঙ্গে কন্টেইনার এবং শিপিং ট্র্যাকিং সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করার বিধান যুক্ত করেছে।
দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা (ব্যাংক জোন), বায়তুল মোকাররম, পল্টন ও গুলশান এলাকার মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তারা প্রতি মার্কিন ডলার ৯৭ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি করেছে।
দুই দিন আগে মঙ্গলবার এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো প্রতি মার্কিন ডলার ১০২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। উচ্চ মূল্য সত্ত্বেও খোলা বাজারে ডলারের ঘাটতি রয়েছে।
২২ বছর ধরে মানি এক্সচেঞ্জ পরিচালনাকারী আনোয়ার হোসেন ইউএনবিকে বলেন, মার্কিন ডলারের দাম এখনো স্থিতিশীল নয়।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ডলারের দাম ১০১ টাকা
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমাতে কার্ব মার্কেটে প্রভাব ফেলছে।
তবে, এলসি খোলার জন্য ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ৯৩ থেকে ৯৬ টাকার মধ্যে অপরিবর্তিত রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করলেও বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ সঙ্কটের কারণে ব্যাংকগুলো বেশি হারে ডলার বিক্রি করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমদানি বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে।
ধীরে ধীরে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্বাভাবিক হবে এবং আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য আনবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২৪ মার্কিন ডলার
এপ্রিলে রেকর্ড ২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেল বাংলাদেশ