বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় রবিবার দিনব্যাপী গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির প্রস্তুতি ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া মানুষরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, আবহাওয়া অফিস রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত শহরে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে এবং গভীর নিম্নচাপের কারণে সোমবার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, ২ নম্বর সংকেত বহাল
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় এবং দেশের বিচ্ছিন্ন জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। রবিবার এক বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’: সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় মেঘ সৃষ্টি এবং ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।