প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
চলতি বছরের ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন স্থগিত করা হয়।
তিনি বলেন, ‘একজন রিটার্নিং অফিসার পুরো নির্বাচন পরিচালনা করেন। যতবার সম্ভব ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করা তার নিয়মিত দায়িত্ব। কিন্তু তিনি তার দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। সিইসি টেলিফোনে অনিয়মের কথা জানালে তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।’
তিনি আরও বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার পরিদর্শন ও আইন অনুযায়ী সব কার্যক্রম চলছে কিনা তা নিশ্চিত করা এবং কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নেয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে ইসি
তিনি আরও বলেন, ‘তারা তাদের দায়িত্ব পালনে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি নির্বাচনী এলাকায় কোনও অনিয়ম খুঁজে পাননি। সিইসি যখন নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তখন রিটার্নিং অফিসার তার ভূমিকা দেখানোর জন্য একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেছেন।’
তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে প্রাথমিক পর্যায়ে অনিয়ম রোধ করা সম্ভব হতো বলে জানান সিইসি আউয়াল।
অভিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসি সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান সিইসি।
সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনের সময়সীমা ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন সিইসি।
সংবিধান অনুযায়ী কোনও আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে পদ পূরণ করতে হবে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনে নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ১২ অক্টোবর নির্বাচনের দিনে ব্যাপক অনিয়মের কারণে ইসি নির্বাচন বাতিল করে।
আরও পড়ুন:গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: সিদ্ধান্তের বিষয়ে অপেক্ষা করতে বললেন সিইসি