গাজীপুরের শ্রীপুরে চোর সন্দেহে মো. ইসরাফিল নামে যুবককে পেটানোর পর মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কামরুল হাসান লিটনকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাবুল মণ্ডল, শফিকুল ইসলাম, জলিল, ইউসুফ, সোহাগ ও ছাত্তার। এছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
জানা যায়, শহিদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ দিন চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে মারা যান তিনি।
নিহতের স্বজনরা জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর ব্যাটারী চুরির অপবাদে তাকে শৈলাট পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। কোমড়ের নিচে গরম পানি ঢেলে দেয়। ফলে যুবকের দুই পায়ের পাতা থেকে কোমর পর্যন্ত ফোসকা পড়ে যায়। পরে হাসপাতালে ২৬ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ১৬ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ দেন ইসরাফিলের বাবা। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়ার পর মামলাটি ওই দিনই হত্যা মামলা হিসেবে থানায় নথিভুক্ত করা হয়।
মূল অভিযুক্ত কামরুল হাসান লিটন (৫০) গাজীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এদিকে মারা যাওয়ার পরপরই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ বিষয়ে কামরুল হাসান লিটনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন