ওয়াশিংটন, নয়াদিল্লি, ক্যানবেরা এবং জেনেভাসহ বিদেশে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে সরকার।
উচ্চ পর্যায়ের একটি কূটনৈতিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, পরিকল্পিত পরিবর্তনগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এখনও ‘কয়েক’ মাস সময় লাগতে পারে এবং এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হতে পারেন এবং বর্তমান রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ঢাকায় ফিরবেন।
বিমসটেকের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শহীদুল ইসলামকে সরকার ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়।
১৯৮৮ সালে বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে যোগ দেন এম শহীদুল ইসলাম। কর্মজীবনে তিনি কলকাতা, জেনেভা এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-টোকিও
তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা, প্যাসিফিক ও কাউন্টার টেররিজম এবং ইউরোপ অনু বিভাগের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন শহীদুল।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে মুহাম্মদ ইমরানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়িয়ে দেয় সরকার।
জেনেভায় জাতিসংঘ অফিস ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মুস্তাফিজুর রহমানকে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হতে পারে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয় ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি হতে পারেন।
পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আলোচনা