আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: স্পিকার
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। অতি সম্প্রতি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে নয় লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৭০ হাজার গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর প্রদান করা হয়েছে যা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য মাইলফলক।’
আরও পড়ুন:জাতীয় সংসদ আধুনিকায়নের কাজ পরিদর্শন করলেন স্পিকার
শনিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার ভার্চুয়াল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:যুব উন্নয়নে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ কার্যকর পদক্ষেপ: স্পিকার
শিরীন শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দলিল। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষিত রয়েছে আমাদের সংবিধানে। বেঁচে থাকার অধিকার, আইনের আশ্রয় লাভের সমানাধিকার, নারী-পুরুষ সমানাধিকার, শিশুদের অধিকার, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, কৃষক-শ্রমিকের উন্নয়নসহ সবকিছুই সন্নিবেশিত বাংলাদেশের সংবিধানে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেই এই সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
আরও পড়ুন:যুব উন্নয়নে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ কার্যকর পদক্ষেপ: স্পিকার
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন নিপীড়িত বঞ্চিত নির্যাতিত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আজন্ম লড়াই সংগ্রাম করেছেন তিনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন থেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু জনগণের জন্য কল্যাণকর গণতন্ত্র চর্চা করে গেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সোনার বাংলা উপহার দেয়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন। তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের সাথে সম্পৃক্ত করে তাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য উজ্জীবিত করতে হবে।
আরও পড়ুন:অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে হবে: স্পিকার
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি ও কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বিভাগীয় কমিশনাররা, মাঠ প্রশাসন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন:সাংসদ ও জনগণের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে এসপিসিপিডি ও বিএপিপিডি: স্পিকার
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫২ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজয়ী বিশজন শিক্ষার্থীদের স্পিকারের পক্ষে বিভাগীয় কমিশনাররা পুরস্কার প্রদান করেন।