এডিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতিরিক্ত ঋণ ২০১৭ সালে এডিবি অনুমোদিত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়নের ৬১.৬ কোটি ডলারের চলমান প্রকল্পে আরও গতি আনবে।
বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং এডিবির পক্ষে সংস্থাটির এ দেশীয় পরিচালক মনমোহন প্রকাশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) সদস্য (অর্থ) মো. খায়রুল হাসানও প্রকল্প চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
আরও পড়ুন:দেশে ব্যবসার সক্ষমতা উন্নয়নে এডিবির অনুদান
করোনার টিকা কেনা ও বিতরণে এডিবির ৭৬ হাজার কোটি টাকার তহবিল
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২১ অর্থবছরে ৬.৮ শতাংশ হবে: এডিবি
এ অতিরিক্ত অর্থায়নে বিদ্যুতের ৩৩ কেভির ৯৯০ কিলোমিটার লাইন এবং ১১ কেভির ৩ হাজার কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা সম্ভব হবে। একই সাথে খুলনা বিভাগের গ্রামীণ অঞ্চলে ৩৩ ও ১১ কেভির ৫১টি সাবস্টেশন স্থাপন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যেমে দেড় লাখ পরিবার বিদ্যুতের আওতায় আসবে।
প্রকল্পটি গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা বাড়াতে এবং নির্ভরযোগ্য করতে পরিবারের রান্না এবং আলোর জন্য ঘরে কেরোসিনের ব্যবহার হ্রাস করতে সহায়তা করবে, যা পরিবারের জ্বালানি ব্যয় হ্রাস এবং বাড়ির কাজের বোঝাও কমাবে। এছাড়া পরিবারের আয় বাড়ানোর জন্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম, শিক্ষামূলক এবং চিকিত্সা পরিবেশ উন্নত হবে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের জন্য এডিবির ৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন
করোনা: বাংলাদেশকে এডিবির আরও ৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা
কৃষকরা ডিজেলচালিত পাম্পগুলোকে বৈদ্যুতিক পাম্পে পরিবর্তন করে সেচের জন্য জ্বালানি ব্যয় হ্রাস করবেন যা উত্পাদন ব্যয় হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
এডিবির এ দেশীয় পরিচালক মনমোহন প্রকাশ বলেন, গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ পাওয়া উন্নত জীবন-যাপন, উন্নত অর্থনৈতিক কার্যক্রম, শিল্প ও কৃষি ক্ষেত্রে উত্পাদনশীলতা এবং স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোর পূর্বশর্ত।
তিনি বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ, খাদ্য সরবরাহ সেবা, ডিজিটাল শিক্ষা, অনলাইন ব্যবসা এবং গৃহস্থালির কার্যক্রম শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে তরান্বিত করতে পারে।’
বিদ্যুতে সরবরাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করে প্রকাশ বলেন, এ প্রকল্পটি ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’