ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভোলা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ জলাবদ্ধ অবস্থায় আছে।
ভোলা জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ২৫ মেট্রিক টন চাল ও পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় মোট ৭৪৬টি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাত উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।’
এছাড়া ১৩ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৭৬টি মেডিকেল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
সোমবার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (বিসিজি) ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর পাতিলা থেকে ১১০ জনকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে।
বিসিজি পূর্বাঞ্চলের মিডিয়া অফিসার কাজী আল আমিন বলেন, ‘দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দলও প্রস্তুত রয়েছে।’