সাগর পথে ইয়াবা পাচারকালে চট্টগ্রামের নগরের পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ কোটি টাকা মূল্যের ৩ লাখ ৯৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-৭। আটকদের মধ্যে ১২ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে র্যাব-৭ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।
আটকরা হলেন- মো.আবুল কালাম (২৭), মো. আবুল ফয়েজ (৫০)। ১২ রোহিঙ্গা হলেন- কক্সবাজার কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. মনির হোসেন (৪৫), মো. আলম (৪১), মো রফিক (২৯), মো. ইয়াহিয়া (২৮), মো. দীল মোহাম্মদ (২৩), মো. মজিবুর রহমান (১৯), মো. আব্দুল মজিদ (২৮), মো. তারেক (১৯), মো. হোসেন (৪২), মো. বশির আহাম্মদ (২২), মো. মঞ্জুর আলম (১৯) ও মো. একরাম উল্লাহ।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবার একটি বড় চালান কক্সবাজার থেকে সাগর পথে ফিশিং বোটে বহন করে খালাসের জন্য নগরের পতেঙ্গা এলাকায় দিকে আসছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী নদী এলাকায় র্যাবের আভিযানিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে। বুধবার ভোর পৌনে ৩টার দিকে অভিযান পরিচালনা করলে একটি ফিশিং বোটের গতিবিধি সন্দেহজনক বোটটি তল্লাশি করে ১২ জন রোহিঙ্গাসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়।
পড়ুন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার তিন, ৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
তিনি জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানোমতে বোটের ভেতর ৩টি ট্রাভেল ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ৩ হাজার ৯৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ বোটটি জব্দ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেয়ার জন্য তারা দীর্ঘদিন যাবত মিয়ানমার থেকে সাগর পথ ব্যবহার করে ইয়াবা ট্যাবলেটের বড় বড় চালান বাংলাদেশে এনে পরবর্তীতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পাচার করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য ১২ কোটি টাকা। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসব মাদক পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, বোটটির মালিক বাংলাদেশি। ১২ জন রোহিঙ্গাকে মাছ ধরার জন্য দৈনিক বেতনের ভিত্তিতে বোটটি রাখা হয়েছিল। দেশি ও বিদেশি গ্রুপ মিলিয়ে ইয়াবাগুলো আনা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ তাদের কাছ থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করত।
পড়ুন: পেটের ভেতর ইয়াবা, আটক ১