চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ডা. সামিনা আক্তারকে বহনকারী সেই রিকশাচালক গ্রেপ্তার করেছে সিএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নগরীর পুরাতন স্টেশন রোড় এলাকা থেকে মোহাম্মদ হৃদয় (১৯) নামে ওই রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ডা. সামিনা আক্তার তিনদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মারা যান। সন্ধ্যার পর থেকে দুর্ঘটনার সময় সিসিটিভির একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে রিকশাচালকের অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনার বিষয়টি ধরা পড়ে। এতে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। পরে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সে রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ডা. সামিনার মৃত্যু
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দীন বলেন, অটোরিকশা বেপরোয়া গতি ও ডা.সামিনাকে বহনকারী রিকশাচালক হৃদয়ের ভুলের কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমাদের মনে হয়েছে। সিএনজি অটোরিকশার চালক সিদ্দিককে দুর্ঘটনার দিন রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, হৃদয় কুমিল্লা জেলার ভাঙ্গুরা থানার ভূঁইয়া বাড়ির মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে নগরের বাকলিয়া থানার মিয়া সওদাগরের পোল এলাকার মফিজ মেম্বারের বাড়িতে বসবাস করেন।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ির কাছে চট্টগ্রাম ক্লাবের সামনে সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কায় রিকশা যাত্রী ডা. সামিনা আকতার গুরুতর আহত হন। দুদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রকৌশলী পাপন বড়ুয়া নিহত
ডা. সামিনা আক্তার ইউএসটিসি মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্রী। তিনি সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে দায়িত্বরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলায়। তিনি নগরের চকবাজার থানার মেহেদীবাগ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্বামী মীর ওয়াজেদ আলীও একজন চিকিৎসক। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।