চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ এলাকায় ভেজাল বিরোধী অভিযানে নকল প্রসাধনী তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে একটি কারখানাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় কারখানার ম্যানেজারকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া, কারখানাটিতে তৈরি ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসনের একটি দল এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
কারদণ্ডপ্রাপ্ত ম্যানেজারের নাম মো. খায়রুজ্জামান রাজু।
জানা যায়, বিএসটিআই’র সহযোগিতায় পরিচালিত এ অভিযানকালে বায়েজিদ এলাকার শাহ হাবিবুল্লাহ রোডে জে বি কেয়ার বাংলাদেশ নামক এ ফ্যাক্টরি থেকে বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট, গ্লিসারিন, ফেসওয়াস, সেক্সুয়াল ট্যাবলেট, ব্রেস্ট ক্রিম, ব্যাথ্যানাশক ক্রিমসহ বিভিন্ন ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের পাহাড়তলী কাঁচাবাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
এছাড়া, বিভিন্ন সাবানে বিএসটিআই এর অনুমতি ছাড়াই বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীনভাবে এসকল পণ্য তৈরির দায়ে কারখানাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং কারখানার ম্যানেজার মো. খায়রুজ্জামান রাজুকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া, ফ্যাক্টরিতে আটক তিনজন শ্রমিককে বয়স বিবেচনা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে টাইলে জেলা প্রশাসন এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার বা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেবার ক্ষমতা মোবাইল কোর্টের নাই। আমরা যাকে হাতেনাতে আটক করেছি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। যেহেতু মালিককে এখানে পাওয়া যায়নি সেহেতু মালিকের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানা পুলিশ নিয়মিত মামলার ব্যবস্থা নেবে।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ভেজাল বিরোধী এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। রেয়াজ উদ্দীন বাজার সহ অন্যান্য যেসকল বাজারে এগুলো বিক্রি হয় সে সকল জায়গায় আমরা অভিযান চালাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের অভিযান: আসামির রহস্যজনক মৃত্যু