বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চট্টগ্রাম ও র্যানং সমুদ্রবন্দরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রিজওয়ান রহমান।
মঙ্গলবার চেম্বার ভবনে থাই রাষ্ট্রদূত ম্যাকাওয়াদি সুমিতমরের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় থাই রাষ্ট্রদূত ম্যাকাওয়াদি সুমিতমর বলেন, আগামী বছর থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় অবস্থিত থাই দূতাবাস এক রোড শো’র আয়োজন করবে।
তিনি বলেন, করোনা বিধিনিষেধ হ্রাস করে থাই সরকার ধীরে ধীরে দেশটি (পর্যটকদের জন্য) খুলে দেবে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে খুলে দেয়া হবে।
এ সময় থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, এখনও দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের ত্রীদেশীয় সড়কের সম্প্রসারণ এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় রিজওয়ান রহমান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৮৩৭ দশমিক ০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। যেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৩৫ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২০ সালে থাইল্যান্ড থেকে ৮০১ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আমদানি করে বাংলাদেশ।
তবে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রপ্তানি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ২০২১ সালে দেশটিতে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২০ সালে ছিল ৩৫ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খাতে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিবে আইডিএ
কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র’ উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর