বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৪৯৬ দশমিক ০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮৪ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কম।
২০২০-২১ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা দেশে এক হাজার ৭৮০ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স হিসেবে ১৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশে অর্থবছর সাধারণত ১ জুলাই থেকে হিসাব করা হয়।
এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে একই সময় ব্যবধানে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ১৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এ সময়ে দেশে রেমিট্যান্সের অভ্যন্তরীণ প্রবাহ ৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার কমেছে।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেও দেশের রেমিট্যান্স খাত ঊর্ধ্বগতিতে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে এক হাজার ৪৯৬ দশমিক ০৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
এর আগের মাস জানুয়ারিতে এক হাজার ৭০৪ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন এবং ডিসেম্বরে এক হাজার ৬৩০ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার পাঠান প্রবাসীরা।
প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে (ব্যাংকিং) রেমিট্যান্স পাঠানোয় উৎসাহিত করতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে সরকার তাদের পাঠানো অর্থের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া শুরু করে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ে আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই, বলছেন অর্থনীতিবিদরা
বিশ্বব্যাপী করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে দেশে রেমিট্যান্সের অভ্যন্তরীণ প্রবাস হ্রাস পেতে শুরু করে। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সরকার প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের ওপর প্রণোদনার পরিমাণ বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করে।
সরকারের প্রণোদনা হার বৃদ্ধি এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় চলতি অর্থবছরের বাকি সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে বলে জানিয়েছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।