ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন (২১৬ কোটি) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে; যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৮ মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সর্বোচ্চ।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৈধ চ্যানেলে ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগের মাস জানুয়ারি মাসে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
বৈধ চ্যানেলে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, সরকার ও ব্যাংকগুলো প্রণোদনা দেওয়ায় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারছে। মোট প্রণোদনা পাচ্ছে ৫ শতাংশ। ফলে বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স আসছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, রেমিট্যান্সের ওপর ৫ শতাংশ প্রণোদনা সাময়িকভাবে রেমিট্যান্স বাড়াতে সহায়তা করবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না।
ড. রায়হান বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে হলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখন প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। যেকোনো উপায়ে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’