মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন দুই শিক্ষার্থী। এই দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের ওপর বুধবার (১০ জুলাই) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।
আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে এফিডেভিট দায়েরের জন্যে ওই দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলন: রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের কঠোর ‘বাংলা ব্লকেড’
চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এফিডেভিট দাখিলের জন্যে অনুমতি দেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করা হয়।
আবেদনকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আলসাদি ভূঁইয়া ও আহনাফ সাঈদ খান।
তাদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রিটকারী পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সংহতি প্রকাশ
রিট আবেদনকারীপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন সর্বোচ্চ আদালত।
এ আদেশের পর কোটাবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, চাইলে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন। এমন মন্তব্যের পর মঙ্গলবার দুইজন শিক্ষার্থী আন্দোলনকারীদের পক্ষে আবেদন করেন। আবেদনে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন হাইকোর্ট নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গত ৯ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ৪ জুলাই শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের অবরোধ
সেই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। ক্রম অনুসারে বিষয়টি উঠলে রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী অন রেকর্ড মো. জহিরুল ইসলাম একদিনের (নট টুডে) সময়ের প্রার্থনা জানান।