কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলার মানুষদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চিলমারী উপজেলার রমনা ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এই সঙ্গে চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার এ ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন এবং চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির ‘কুঞ্জলতা’ ফেরি দিয়ে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এর ফলে ব্রহ্মপুত্র নদবিধৌত রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলার মানুষের জেলা শহরে যাতায়াতে ভোগান্তি কমে আসবে।
চিলমারী-রৌমারী রাজিবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে, যাতায়াত খরচও কমে যাবে। পরে আরও একটি ফেরি এ রুটে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ২০২৬ সালে শুরু হবে: খালিদ মাহমুদ
এই ফেরি রুটের নাব্য বজায় রাখার জন্য দুইটি ড্রেজার থাকবে। ফেরি সার্ভিস চলাচলের মধ্য দিয়ে নদী পথে যোগ হলো যোগাযোগের নতুন মাত্রা।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অবদান তা কেড়ে নেওয়া যাবে না।
১৫ বছর ধরে ফখরুলরা বলছেন- সরকারকে ফেলে দিচ্ছেন; কিন্তু তারা সেটা পারেননি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেটা দেখে যান। সুস্থ থাকুন।
তিনি আরও বলেন, কুড়িগ্রামের বাসন্তীকে নিয়ে যারা দুর্ভিক্ষের চিত্রধারণ করেছে; তারা তাদের ফায়দা নিয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান শাহীন, চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম লেছু, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী শোভন, প্রকল্প পরিচালক সাজিদুর রহমান।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী চিলমারী-রৌমারী ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন শেষে তিনি ফেরিযোগে রৌমারীর উদ্দেশে যাত্রা করেন। তিনি রৌমারীতে ফেরিঘাট উদ্বোধন করেন।
চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নে ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে এর কআর্যক্রম শেষ হবে।
চিলমারী বন্দরে সুধি সমাবেশে ফেরির ভাড়া কমানোর দাবি করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তাবিত ভাড়া থেকে কমিয়ে সিএনজিচালিত বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা ৬৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা, মোটরসাইকেল ২২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা, বাইসাইকেল ১২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা, জনসাধারণের জন্য প্রস্তাবিত ৮০ টাকা কমিয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে।’
তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাম্বুলেন্সের কোনো ভাড়া লাগবে না। এ ছাড়া অন্যান্য যানের ক্ষেত্রে ভাড়া শতকরা পনের ভাগ কমানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: খালিদ মাহমুদ
বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ