চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় নদী থেকে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার ভাঙবাড়িয়া গ্রামের কারিগরপাড়ার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত পপি খাতুন (২৬) উপজেলার ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়নের নগরবোয়ালীয়া গ্রামের তুহিনের স্ত্রী ও একই উপজেলার বেলগাছি গ্রামের ইসলামপাড়ার ভোলা শেখের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে এলাকার কয়েকজন নদীতে একটি নারীর মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পড়ুন: মাদারীপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি
নিহতের বাবা ভোলা শেখ বলেন, ‘ছয় দিন আগে আমার জামাই তুহিনসহ পরিবারের সদস্যরা আমাকে জানায়, আমার মেয়ে পপি খাতুন কোনো ছেলের সাথে চলে গেছে। কার সাথে গেছে জিজ্ঞাসা করলে কোনো সুদুত্তর দেয়নি তারা। এরপর আমি আলমডাঙ্গা থানায় জিডি করি। পুলিশ ও আমরা অনেক খুঁজেছি। কোথাও পাইনি আমার মেয়েকে। আজ আমার মেয়েটাকে জীবিত পেলাম না, পেলাম নদীর ভেতর মৃত অবস্থায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার নাতী মিমের বয়স ১০ বছর। এর আগে অনেকবার তুচ্ছ ঘটনায় আমার জামাই তুহিন ও তার পরিবারের লোকজনের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আমার বাড়ি চলে এসেছিল। তাই আমার ধারণা জামাই তুহিন ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের পর হত্যা করেছে আমার মেয়েকে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তুহিনুজ্জামান খান বলেন, নিখোঁজের ছয় দিনের মাথায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে পপি খাতুনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পপি খাতুনকে হত্যার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রদিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রহস্য উন্মোচনে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
পড়ুন: আ'লীগকে ব্যঙ্গ করে ফেসবুক পোস্ট: ছাত্রশিবির নেতার ১০ বছর কারাদণ্ড