চুয়াডাঙ্গায় পৃথক তিনটি স্থানে বজ্রপাতে কৃষকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
শনিবার সকাল ৯টায় উপজেলার পাটা চোরা, সদর উপজেলার বেগমপুরের ঝাঁজরি গ্রাম ও গোবিন্দহুদা গ্রামের বসত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার পাটাচোরা গ্রামের মৃত খেদের মল্লিকের ছেলে কৃষক আহাম্মদ মল্লিক এবং দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাজরি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেল।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুইজনের মৃত্যু, আহত ২
আহত টুনু খাতুন একই উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের মিলনের স্ত্রী।
দামুড়হুদা দর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার পাটাচোরা গ্রামের কুতুব উদ্দিন বলেন, সকাল ৯টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় মাঠে কাজ করছিলেন মল্লিক। বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে মল্লিক মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দিলে বজ্রপাতে তিনি মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজিয়া নওরিনের বরাত দিয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা) ডা. হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই কৃষক মল্লিক মারা যান।
দামড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অপরাদিকে দর্শনা থানা পুলিশ বজ্রপাতে যুবক রুবেল নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে রুবেল বস্তির পাশে একটি দোকানে বসেছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে রুবেল নিহত হন।
দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, বেগমপুর ঝাঝরি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেল ৯টার দিকে ওই গ্রামের বস্তির পাশে একটি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় বজ্রপাত হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে রুবেল মারা যান।
এদিকে গোবিন্দহুদা গ্রামে বজ্রপাতে আহত টুনু খাতুনের স্বামী মিলন মিয়া বলেন, ‘বজ্রবৃষ্টির সময় বাড়িতে ঘরের দরজায় বসা ছিল আমার স্ত্রী। এমন সময় বাড়ির উঠানে বজ্রপাত হলে সে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারায়।’
এসময় পরিবারের সদস্যরা তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বজ্রপাতে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ৬