ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৮১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের ‘গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম মুছে ‘মোহাম্মদপুর সরকারি বিদ্যালয়’ নামকরণ করা হয়।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্কুলটি পরিদর্শন করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কুলের নাম মুছে ফেলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের ‘গাংগীহাতা’ গ্রামের নাম ‘মোহাম্মদপুর’ নামে নামকরণ করেন স্থানীয়রা। তবে ‘গাংগীহাতা’ নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী আটক
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনের দেয়ালে লেখা নামটি মুছে ‘মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামকরণ করেন। তবে বিদ্যালয়ের ভিতরে সিমেন্টের লেখা ‘গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামটি ঠিকই রয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি সকালে স্থানীয়দের নজরে এলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়ামিন হোসেন।
বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক জুনায়েদ বলেন, এলাকাবাসী অনেকদিন ধরে চাচ্ছিলেন বিদ্যালয়ের নামটি বদল করে দিতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে স্কুলের নামটি মুছে দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম বলেন, সন্ধ্যায় স্কুলে কেউ না থাকায় এ কাজটি করা হয়েছে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন বলেন, গেজেট অনুযায়ী স্কুলটির নাম গাংগীহাতা। তবে নামটি কারা মুছে ফেলেছে তা আমার জানা নেই। বিষয়টি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। যদি গ্রামের লোকজন স্কুলের নাম বদল করতে চান, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী আমাকে লিখিত আবেদন করতে হবে। তারপর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মন্ত্রণালয় বিদ্যালয় নাম বদল করতে ব্যবস্থা নেবে। নাম মুছে দিলে তো আর গেজেট পরিবর্তন হবে না।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্কুলের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।