পৃথক ১৯টি পরিবারের জমজ ১৯ শিশুকে চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জমজ ১৯ শিশুর পক্ষে প্রকৌশলী আবদুল্লাহ কবির মাহমুদ নামের এক অভিভাবকের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের কথাগুলো সত্য হলে নিন্দনীয়: হাইকোর্ট
পৃথক পরিবারের ১৯ জমজ (মোট ৩৮টি শিশু) শিশু ভর্তির আবেদন করে। তাদের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারের একজন করে মোট ১৯ জন লটারির মাধ্যমে ভিকারুননিসা নুন স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। অপর জমজ ১৯ জনকে ভর্তি করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তাদের ভর্তি করার নির্দেশনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে সাড়া না পেয়ে রিট আবেদন দাখিল করা হয়।
ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, প্রত্যেক পরিবারে জমজ বাচ্চারা সব সময় একসাথে থাকে। একসাথেই খেলাধুলা করে। তাদের চাওয়াও একইরকম। তারা প্রায় সব কাজে একজন আরেকজনকে অনুকরণ করে। এ কারণে তাদের সুস্থ মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য একসাথে থাকাটা খুবই জরুরি। আলাদা থাকলে তারা মানসিক সমস্যায় ভোগে। তাদের যদি আলাদা কিছু দেয়া হয় বা আলাদা পরিবেশে রাখা হয়, তারা এক ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগে। খারাপ প্রভাব পড়ে তাদের ওপর।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার রিটের মঙ্গলবার
তিনি বলেন, ১৯টি পরিবারের ১৯টি শিশু ভর্তি হতে পেরেছে। আর ১৯টি শিশু ভর্তি হতে পারেনি। যারা ভর্তি হতে পারেনি তাদের সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত বাদপড়াদের ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন।