বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। যেখানে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, জাতীয় নির্বাচন, নারী অধিকার, সংখ্যালঘুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছন দলটির নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় আমিরে জামায়াতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দসহ আমিরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বৈঠক শেষে তাহের বলেন, ‘সম্প্রতি আমিরে জামায়াতসহ আমরা ব্রাসেলস সফর করেছি। সেখানে বেলজিয়াম সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, উন্নয়ন-অগ্রগতিসহ নানা বিষয়ে আমাদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নারী অধিকার, সংখ্যালঘু এবং আমাদের প্রধান রপ্তানি খাত গার্মেন্টস বিষয়ে আমাদের অবস্থান তারা জানতে চেয়েছেন। এসব বিষয়ে আমরা তাদেরকে স্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমরা তাদেরকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর কথা বলেছি। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসাতে আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা এবং একই ব্যক্তির দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিষয়টিও আমরা তাদেরকে অবহিত করেছি। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালার বিষয়ে তাদেরকে বলেছি যে, যৌনকর্মীর লাইসেন্স প্রদান নারীর মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি চরম আঘাত। তারা এসব বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তারা জামায়াতে ইসলামীতে শতকরা ৪৩ ভাগ নারীর অংশগ্রহণের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার ব্যাপারে তারা দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।