এ ঘটনার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কমকর্তাকে দায়ী করে ওই ব্যাংকটিকে এ ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এফ আর নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
রায়ের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। রায়ে ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংককে ৩০ দিনের মধ্যে এই জরিমানার টাকা জাহালমকে দিতে হবে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনকে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল ভ্রান্তি যাতে না হয় সে জন্য সতর্ক হতে বলেছেন। কারণ এই প্রতিষ্ঠানের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। এছাড়া এই ব্যাংক ঋণের ঘটনায় যে মামলা তার পুন:তদন্ত দ্রুত শেষ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জাকির হোসেন। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী আনিসুল হাসান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের পাটকল শ্রমিক জাহালমকে আসামি করে ঋণ জালিয়াতির মামলায় জড়ানোয় ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না জানতে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু দুদকের ভুলে সালেকের বদলে তিন বছর ধরে কারাগারে কাটাতে হয় টাঙ্গাইলের জাহালমকে। এ নিয়ে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি সংবাদ প্রকাশিত হলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে।
সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিরপরাধ পাটকল শ্রমিক জাহালমকে অর্থ জালিয়াতির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওইদিনই মুক্তির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সে দিন রাতে জাহালম কারাগার থেকে মুক্তি পান।