এছাড়া একই সময়ে রেলপথে ২০টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন এবং নৌ-পথে ১৭টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে রবিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে ১৬২ জন চালক, ১২৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ১১৩ জন পথচারী, ৬২ জন নারী, ৫৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ২৮ শিশু, ২৩ জন শিক্ষার্থী, ১১ জন রাজনৈতিক নেতা, ৭ জন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, এবং একজন প্রকৌশলী রয়েছেন।
পরিসংখ্যানে দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জুন মাসে মোট দুর্ঘটনার ৪৮.৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩১.৫৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে এবং ১৩.৯৬ শতাংশ ফিডার রোডে ঘটেছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ২.৭৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.৯৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১.১২ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে।
মে মাসের তুলনায় বিগত জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ৫৬.১৪ শতাংশ, নিহত ৫৭.৩৪ শতাংশ ও আহতের হার ৪৩.৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সড়ক নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ও জবাবদিহীতার অভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস পদ্ধতি ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।