জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন হত্যা মামলায় ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
তবে রায় ঘোষণার সময় ৬ আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেওয়ানপাড়া মহল্লার মৃত ইউনুছ আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদীন; শান্তিনগর মহল্লার মৃত শাজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন সুমন; আরাফাতনগর মহল্লার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ; দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর; তেঘরবিশা গ্রামের মৃত কাবেজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম; দেওয়ানপাড়া মহল্লার আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা; দেবীপুর কাজিপাড়া মহল্লার মৃত মকবুল হেসেনের ছেলে শাহী; দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহল্লার ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল; দেবীপুর মন্ডলপাড়া মহল্লার রফিকের ছেলে সুজন; দেবীপুর কাজিপাড়া মহল্লার নুর হোসেন নমুর ছেলে রহিম ও নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার ধুরইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।
আরও পড়ুন: নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকালে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিক পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে পৌর এলাকার পাঁচুরচক মাধ্যমিক বিদ্যালয় নবম শ্রেণীর ছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেনকে তুলে নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে জয়পুরহাট শহরের জামালগঞ্জ সড়কের একটি আম গাছের নিচে তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
ঘটনার পরদিন রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে পরের দিন জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত বুধবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড