রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত 'গুলশান শপিং সেন্টার'টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মার্কেটটি সিলগালা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান-১ এর গুলশান শপিং সেন্টার এর হোটেল, দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান।
উল্লেখ্য, গুলশান-১ শপিং সেন্টারের জরাজীর্ণ ভবন ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে এটি ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিএনসিসিকে জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠায়।
অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, 'গুলশান-১ শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা সেটি খালি করে দেননি। ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যাক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের জন্য মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে।'
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে সারাদেশে ১১৬ অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালার
জুলকার নায়ন বলেন, 'বার বার সতর্ক করা হলেও তারা পরিত্যাক্ত ভবনটি খালি করছে না। ব্যবসায়ীরা এটি খালি করার জন্য একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুপারিশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯, তৃতীয় তফসিল-১৭, ইমারত নিয়ন্ত্রণ ইমারত সম্পর্কিত প্রবিধান এর ১৭.১ ও ১৭.২ অনুযায়ী জনস্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটটি সিলগালা করা হয়েছে।'
উক্ত মার্কেটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ প্লাটুন পুলিশ ও ১ প্লাটুন এপিবিএন ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ উপস্থিত হয়ে মার্কেট ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ও নিরাপত্তার স্বার্থে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গেটসমূহ তালাবদ্ধ ও সীলগালা করা হয়। মাইকিং করা হয় ও মালামাল সরানের জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য সেবা সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।