ফরিদপুর, বাগেরহাট, মাগুরা, কেরানীগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রামের স্থানীয় প্রশাসন রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) নির্দেশনা অনুযায়ী কমপক্ষে ১১৬ অনিবন্ধিত ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করেছে।
এগুলোর মধ্যে শেরপুরে ৪২টি, ফরিদপুরে ২৬টি, বাগেরহাটে ২৫টি, মাগুরায় ১৫টি, কেরানীগঞ্জে পাঁচটি ও কুড়িগ্রামে তিনটি সিলগালা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশের সব অনিবন্ধিত ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একটি দল সদর, মধুখালী, বোয়ালমারী, সালথা, নগরকান্দা, ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলায় ২৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধ করে এবং আরও ১৫টি হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন জেলার ৯টি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২৫টি অবৈধ হাসপাতাল সিলগালা ও মোট ৩৫টি হাসপাতালকে পাঁচ লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. মো. শহীদুল্লাহ ইউএনবিকে জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে এবং একজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানান, অভিযানের দ্বিতীয় দিনে পাঁচটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে এবং চারটিকে দুই লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া একজন ভুয়া চিকিৎসককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন মঞ্জুর মুর্শেদ জানান, অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার তিনটি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ৩৭টি অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা, আটক ১