তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম নিয়ে শুরুতে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা, ভয়-আশঙ্কা ও গুজব ছড়ালেও, পর্যায়ক্রমে টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।’
বুধবার টিকা কর্মসূচির সর্বশেষ প্রস্তুতিমূলক সভা ও বিভিন্ন হাসপাতালে পরিচালকদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন: ৪ ফেব্রুয়ারি প্লে-স্টোরে আসবে ‘সুরক্ষা অ্যাপ’
অধ্যাপক ডা. খুরশিদ আলম বলেন, ‘টিকার জন্য নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৫ ফেব্রুয়ারির পরেও নিবন্ধন কাজ চলমান থাকবে। এছাড়া সারা দেশের গ্রাম-গঞ্জে ভ্যাকসিন নিবন্ধনের জন্য মাইকিং, জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণসহ গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
এছাড়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি টিকা কার্যক্রমের প্রথম দিনই টিকা গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা গ্রহীতাদের নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনায় ৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুরক্ষা অ্যাপ’ প্লে-স্টোরে চলে আসবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
টিকা নিলে ভয় নেই, বরং না নিলেই ভয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রবিবার এ তথ্য জানান তিনি।
ডা. খোরশেদ আলম জানান, ‘আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপ প্রস্তুত রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই গুগল প্লে-স্টোরে অ্যাপটা আপলোড করেছি। ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এটা অনুমোদন হয়ে যাবে। তখন থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।’
কোভিড প্রতিরোধে টিকা যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়
‘আপাতত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলছে। আর যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না, তাদের উপজেলা পর্যায়ে সহায়তা করবে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা,’ বলেন তিনি।
টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাত হাজার ৪০০টি দল কাজ করছে বলেও জানান ডা. খোরশেদ আলম।