স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের শিক্ষা কার্যক্রমকে পুনরায় গতিশীল করতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিককে ক্রমান্বয়ে কোভিড-১৯ টিকার আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ আইসিইউ বেড সম্প্রসারণ ও আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকার আওতায় আনার ব্যাপারে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল নাগরিককে ক্রমান্বয়ে টিকার আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর রয়েছেন। বর্তমানে সরকারের হাতে ৪৫ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে যা গতকাল (১৪ জুলাই) থেকেই টিকা প্রদান কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে।
পড়ুন: সিনোফার্মের টিকা পাওয়া যাবে আগের চেয়ে কম দামে
তিনি বলেন, চীন থেকে আগেই ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরকার হাতে পেয়েছে। আরও দেড় কোটি ভ্যাকসিন প্রতি মাসেই দেশে আসতে থাকবে। পাশাপাশি অ্যাস্ট্রেজেনেকার ২৯ লাখ ডোজ বরাদ্দ রয়েছে। দেশে যারা প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তারা এই অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন থেকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে দেশে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন মজুদ রাখার সক্ষমতা স্বাস্থ্যখাতের হাতে রয়েছে। সুতরাং বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন এনে তা ভালোভাবে রেখে বণ্টন করতে কোন সমস্যা হবে না।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নতুন করে আরও ২ হাজার চিকিৎসক ও ৪ হাজার নার্স নিয়োগের কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজও চলমান রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঢাকা মেডিকেলে নতুন করে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ১৩টি আইসিইউ বেড, একটি ডায়ালাইসিস সেন্টার ও ৪টি ভেন্টিলেটর স্থাপন বড় ভূমিকা রাখবে বলে জানান জাহিদ মালেক।
পড়ুন: টিকা নিয়ে ফেসবুকে ‘সুখবর’ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই আসছে ফাইজারের ৬০ লাখ ডোজ টিকা
স্বাস্থ্যখাতের সমালোচনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সমালোচনা হওয়া উচিৎ যারা স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তি করে তাদেরকে নিয়ে, যারা মুখে মাস্ক পরে না তাদেরকে নিয়ে। দেশে এখনো খাদ্যের অভাব নেই, শিল্প বন্ধ হয়নি, স্বাস্থ্যসেবা চলমান রয়েছে তাহলে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে কেন এতো চক্রান্ত? এই চক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর অর্জনকে ম্লান করার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক (ডা.) কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মাসুদ রানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।