দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন মন্ত্রী সিগ্রিড কাগ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের কাছে এ আশ্বাস দিয়ে বলেন, আরএমজি (তৈরি পোশাক) খাতের ব্যবসা বাণিজ্য যাতে ব্যাহত না হয় সেটি নিশ্চিত করবে ডাচ সরকার।
করোনাভাইরাসের প্রভাব এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে আলোচনা করতে বুধবার মোমেনকে ফোন করেন কাগ।
টেলিফোন বৈঠকে মোমেন বিভিন্ন ইউরোপীয় ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের আদেশ বাতিল করার বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, ৩.১৮ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা বাতিল বা স্থগিত করেছেন, যার ফলে ১ হাজার ১৫০টি কারখানা এবং ২০ লাখেরও বেশি শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
দেশটির ক্রেতারা এবং ব্র্যান্ডগুলো যেন বাংলাদেশের আরএমজি কারখানাগুলোর সাথে তাদের চুক্তি বা কোনো অর্ডার বাতিল না করে তা নিশ্চিত করার জন্য নেদারল্যান্ডসের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে দুই মন্ত্রী টেলিফোনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন।
এসময় করোনা পরিস্থিতির জন্য যে দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন তাদের জন্য ডাচ সরকার ১০০ মিলিয়ন ইউরোর একটি তহবিল গঠন করেছে বলে জানান মন্ত্রী সিগ্রিড কাগ।
তিনি জানান, যে দেশগুলো তহবিলটি ব্যবহার করতে আগ্রহী তাদেরকে অর্থ বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে হবে।
এ বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ডেলটা প্লান ২১০০, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের শ্রমিক সংকট, বাংলাদেশের নদী ভাঙন চ্যালেঞ্জসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন দুই মন্ত্রী এবং এসকল ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যহত রাখায় ডাচ সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন।