বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশে সারাবছর ডেঙ্গু নিয়ে কাজ হয় না বলেই আজ এ অবস্থা। স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে যে কোনো কাজ, গবেষণা করার জন্য উৎকৃষ্ট স্থান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে আমরা ডেঙ্গু রিসার্চ করব। ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিএসএমএমইউ'র চিকিৎসকরাও কাজ করবেন।
তিনি বলেন, বিএসএমএমইউতে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের ব্যাপারে গবেষণা করে তৈরি করার ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নেবো। এ ব্যাপারে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগকে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্যও বলেন উপাচার্য।
এর আগে বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান ও আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদকে সদস্য সচিব করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটি -২০২৩ গঠন করা হয়।
শনিবার (৫ আগাস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিএসএমএমইউ উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ‘ডেঙ্গুবিরোধী সামাজিক আন্দোলন চাই’ নামে একটি সংগঠন।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
এ কমিটিতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শাহসুল হক টুকুকে প্রধান উপদেষ্টা, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনকে বিশেষ উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম উপদেষ্টা পদে মনোনিত করা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন বলেন, সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠার উদ্যোগটি ভালো। এজন্য মানুষকে সচেতন করতে আমাদের সকলকে রাস্তায় নামতে হবে। সবাইকে জানাতে হবে, এখন ডেঙ্গুর এখন ২৪ ঘণ্টা কামড়ায়। ধরন পাল্টেছে। আগে দিনে মশা কামড়াতো, আগে পরিস্কার পানিতে মশার লার্ভা পাওয়া যেতো, এখন ময়লা পানিতেও পাওয়া যায়।
সকলকে আরও বেশি করে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বাসায়, ছাদে, ফুলের টবে কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না। কমোড ব্যবহারের পর ঢেকে রাখতে হবে। আগামীকাল থেকে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই প্রয়োগ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এটি সিঙ্গাপুরে খুব ভালো কাজ করছে, আশা করছি আমাদের এখানেও কাজ করবে।
জ্বর হলে ঘরে বসে না থেকে দ্রুত এনএসওয়ান টেস্ট করার পরামর্শ দেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না। প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। শিক্ষার্থীদের ফুল প্যান্ট, ফুল হাতা শার্ট ও জুতা মোজা পরে বিদ্যালয়ে যেতে হবে।
এ কমিটিতে দৈনিক বঙ্গজননী ও দ্য ন্যাশনাল নিউজ ইউএসএ’র প্রধান সম্পাদক আলী নিয়ামতকে সভাপতি করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার ইউংয়ের উপদেষ্টা রুবিনা খান, ক্যাটের সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক উপাচার্য ড. রশিদ আসকারী, উইয়ের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশাকে সহসভাপতি করা হয়েছে।
এছাড়া দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়াকে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সমাচারের সম্পাদক ড. খান আসাদুজ্জামান, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য ও মহাসচিব আসলাম সিহির, ওয়ার্ল্ড ক্যানসার সোসাইটি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য যুবরাজ খান, ক্যাটের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম মৃধা, সেভেনটি ওয়ান টিভি বাংলার টকশো উপস্থাপক রোকন উদ্দিন পাঠান, হিউমান এইড ইন্টারন্যাশনালে মহাসচিব সেহলি পারভিন, উইয়ের পরিচালক রাকিবা আহমেদ, উইয়ের সদস্য সামিরা সুলতানা ও দৈনিক বঙ্গজননীর সহসম্পাদক মুক্তা মিয়াকে সদস্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য