ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের কর ফাঁকির বিষয়ে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে আদালত কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটসের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করতে এবং আপিলটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া এ বিষয়ে করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সরকার যেনতেন নির্বাচনের ‘পাঁয়তারা’ করছে: ড. কামাল হোসেন
রায়ের ব্যাপারে কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটসের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন বলেছেন, কর ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে আমরা ট্যাক্সেস আপিলেট ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছিলাম।
তিনি বলেন, ডিপোজিট জমা দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে আমাদের আপিল গ্রহণ করেনি আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে আমরা সেটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করি। অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া হয়েছিল, আমরা সেটাকে ডিপোজিট হিসেবে গ্রহণ করতে বলি।
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট সোমবার রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দিয়েছেন। আমরা যেটা চেয়েছিলাম, সেটাই আদেশ দিয়েছেন। আমাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করতে কর আপিল ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে আপিলটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ড. কামাল হোসেন ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজা ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং সুদ ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা দাবি করে।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজস্ব বোর্ডের এক ডেপুটি কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম কমিশনারের কাছে আপিল করেন কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটস।
ওই আপিল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৫ জুন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর যুগ্ম কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কর আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন।
কিন্তু আইনে নির্ধারিত নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিপোজিট জমা না করার কারণ দেখিয়ে আপিল ট্রাইব্যুনাল সেই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ না করেই খারিজ করে দেয়।
পরে গত বছরের জুনে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটস।