ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ৭ জন শ্রমিকের শরীরে করোনার ভারতীয় বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ওই প্রকল্পের ১০ জন শ্রমিকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা এসকল শ্রমিকদের মধ্যে ৭ জনের দেহে করোনার ডেল্টা টাইপ ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: আইইডিসিআর সমীক্ষা: নমুনার ৮০ শতাংশই ভারতীয় করোনা শনাক্ত
গত ১৮ মে এই শ্রমিকরা ট্রাকে চড়ে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পে কাজ করতে আসে। তাদের কয়েকজনের সর্দি, জ্বর থাকায় কর্তৃপক্ষ তাদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে বললে প্রথমে তারা অস্বীকৃতি জানায়।
২৫ মে আলাদ একটি মেডিকেল টিম তাদের গঠন করা হয় এবং তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তাদের করোনা শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে ৩ জুন তাদের নমুনা ঢাকাররোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হলে ৭ জনের নমুনাতে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে একদিনে আরও ৪৩ প্রাণহানি, শনাক্ত ১১.০৩ শতাংশ
বর্তমানে আক্রান্ত রোগীরা ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম করোনার এই ডেল্টা টাইপ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জুনের শেষ নাগাদে বাংলাদেশে ভয়াবহ আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এর আগে ভারতের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায়, বাংলাদেশ গত ২৬ এপ্রিল ভারতের সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এই অবস্থা আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে ভারত থেকে শুধু পণ্যবাহী যান চলাচল ও বিশেষ অনুমতিতে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা দেশে ফিরেছেন।