এ লক্ষ্যে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির দ্বিতীয় সভা মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রণীত খসড়া নীতিমালা এবং ঢাকা শহরের চারপাশের বায়ুদূষণ হ্রাসে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় রাস্তা, বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিস ও ভবন নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও মেরামত কার্যক্রম চলাকালে অস্থায়ী বেষ্টনী দিয়ে নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখার বিষয়টি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। দ্রুততম সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত এবং নির্মাণ চলাকালে দিনে দুইবার পানি ছিটানোর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ট্রাক বা লরিতে উন্মুক্ত অবস্থায় বালু, মাটি, সিমেন্টসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়।
রাস্তার পাশে পৌরবর্জ্য সংরক্ষণ ও পোড়ানো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থাও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হবে বলে সভায় জানানো হয়।
ইটভাটাসহ পরিবেশ দূষণকারী ধোঁয়া নিঃসরণকারী যানবাহনসমূহ বন্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার বিষয়টিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ঢাকা শহরের চারপাশের বায়ুদূষণ হ্রাস করার লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করার জন্য হাইকোর্ট গত ২৬ নভেম্বর নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) আলমগীর মুহম্মদ মনসুরউল আলম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদসহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।