বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বুধবার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের দেওয়া অগ্রাধিকার তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে সকল ক্ষেত্রেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশ মূল্যমান ও প্রকল্পের সংখ্যা উভয় দিক থেকেই ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার, যাকে রেয়াতি অর্থায়নের আওতায় প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের চুক্তি হয়েছে এবং প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ ২০২২ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
তিনি প্রশংসা করে বলেন, অতিমারির সবচেয়ে সংকটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে ভারত দ্রুততম ও বৃহত্তম সহায়তাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বুধবার ‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’- প্রকল্পের জন্য একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
প্রকল্পটি ভারত সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৃতীয় কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিট-এর আওতায় গৃহীত হচ্ছে।
সড়ক ভবনে অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ.বি.এম. আমিন উল্লাহ নূরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
প্রকল্পস্থলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওয়ার্ক প্যাকেজ ১-এর জন্য বাস্তবিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
হাই কমিশনার সড়ক ও মহাসড়ক খাতের প্রকল্পসমূহের গুরুত্বের ওপর জোর দেন, যেখানে রয়েছে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের পাঁচটি প্রকল্প; যা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মোট প্রতিশ্রুতির ১২ শতাংশ।
এছাড়াও ডাবল-ডেকার, সিঙ্গেল-ডেকার, এসি ও নন-এসি বাস এবং হেভি-ডিউটি ট্রাক সরবরাহের জন্য ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের তিনটি সরবরাহ প্রকল্প ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। যার ফলে সড়ক ও মহাসড়ক খাতে ভারতের মোট প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।
‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প’- ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় মোট ৮০ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত রামগড় উপজেলার বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়কের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার অংশ প্রশস্তকরণের পরিকল্পনা করছে। যা চট্টগ্রাম বন্দর ও রামগড় স্থলবন্দরের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নতিতে অবদান রাখবে।
এছাড়াও ভারত সরকারের অর্থায়নে ফেনী নদীর ওপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে, এই সড়ক প্রকল্পটি সাব্রুম-রামগড় এলসিএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে। ভারতীয় পক্ষ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বড় আকারের বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব: প্রধানমন্ত্রীকে দেশটির দুই মন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কাতার: দেশটির প্রধানমন্ত্রী