স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রাজধানীতে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই। রবিবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অননুমোদিত প্রাইভেট ক্লিনিক পাওয়া গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ক্লিনিকের কার্যক্রম স্থগিত করাসহ নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বয়স্কদের চিকিৎসার জন্য জেরিয়াট্রিক বিভাগ চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এই বিভাগে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী রোগীদের আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্বদের করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ৪৮৪টি।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, উপজেলা হাসপাতালকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ী ৫০ শয্যার সব উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রকল্প হাতে নিয়েছে যেখানে শিশুসহ সব বয়সের ক্যান্সার রোগীদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসায় ডেঙ্গু রোগীদের মৃত্যু বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিদেশফেরত কর্মীদের এইচআইভি পরীক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী