বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক ওয়েবিনারে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফ কর্বেল স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অর্থনীতি বিভাগের বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক হায়দার খান।
‘বঙ্গবন্ধু, জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদ: আজকের পাঠ’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেন্টার ফর স্টাডি অব জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিস (সিএসজিজে)।
বঙ্গবন্ধু কীভাবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মূল নেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, ওয়েবিনারে সেসব বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক জানান, এ আলোচনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে তাদের ধারাবাহিক আয়োজনের অংশ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তার (বঙ্গবন্ধুর) জীবন, তার অবদান এবং ইতিহাসে তার ভূমিকা অধ্যয়ন করা উচিত। প্রতি বছর আমরা আগস্ট মাসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করি। তবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী হওয়ায় এ বছরটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা তার জীবনের বিভিন্ন দিককে কেন্দ্র করে এ বিশেষ ধারাবাহিক আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু করেছি। অধ্যাপক হায়দার এ খানের সাথে এ আলোচনা সিরিজটি শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
করোনা মহামারির কারণে প্রথমবারের মতো এ আলোচনা অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি আয়োজন করার কথা উল্লেখ করে মফিদুল হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের দরজা এখন বন্ধ থাকলেও, কার্যকর এবং অর্থবহভাবে এ ধরনের আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা আমাদের জানালাগুলো খুলে দিচ্ছি।’
গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি আজীবন অঙ্গীকার:
ড. খান ওয়েবিনারের আয়োজন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেন্টার ফর স্টাডি অব জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিস’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের উত্থানের পেছনের কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন ও দিক সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করাই তার লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার জন্য এটি এক আজীবন প্রকল্প...যতক্ষণ আমি লিখতে এবং ভাবতে সক্ষম থাকব, আমি এটি চালিয়ে যাব।’
বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শের পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দশকে বেঁচে থাকা কেমন ছিল সে সম্পর্কেও নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক খান।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা পর্যন্ত সংগ্রামের মূল পথটি সংক্ষেপে আলোচনা করেন তিনি।
ড. খান তার বক্তৃতার চূড়ান্ত অংশে, ১৯৭২ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিকতাবাদ এবং আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেন।
‘বঙ্গবন্ধু সারা জীবন গভীরভাবে গণতান্ত্রিক আদর্শে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন,’ যোগ করেন তিনি।